শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নয়নাভিরাম ফুল “কচুরিপানা” তিস্তা নদীর তীরে মশাল প্রজ্জ্বলন শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজের সহকারী অধ্যাপক নিহত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল প্রজ্জ্বলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু লালমনিরহাটে জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন চলমান বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লালমনিরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশ র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ইজিবাইক জব্দ কালবেলা ৩য় পেরিয়ে ৪র্থ বর্ষে পদার্পণে আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠিত মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনার নেতৃত্বে ইটালিতে বাংলাদেশের বিশাল সফলতা: স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জসহ ৯টি পদক অর্জন লালমনিরহাটে জামায়াতের মানববন্ধন বিএসটিআই’র মোবাইল কোর্টে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব; পাল্টা অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি আসামী

হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব; পাল্টা অভিযোগে আওয়ামী লীগের সভাপতি আসামী

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের পকেট থেকে জোর পূর্বক ৫০হাজার টাকা বের করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরুর বিরুদ্ধে।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় হাতীবান্ধা থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি করলেও হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম বলছে, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ তিনি পায়নি।

 

ওই অভিযোগে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকেও আসামী করা হয়েছে।

 

এছাড়া হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে দেয়ার অভিযোগও তুলেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।

 

প্রাপ্ত অভিযোগ ও হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন জানান, গত ৭ নভেম্বর ২ ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরু তার অফিসে গেলে তিনি এডিপি ও টিআর প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর না দিয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ করেন। পরে জেসমিন নাহার নিজ অফিসে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিচে ফেলে দেয়।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চুসহ অন্যান্যদের ডেকে পরামর্শ করে তার অফিসে প্রবেশ করে। অফিসের চেয়ার ভাংচুর করে এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী সুলতান আহম্মেদ রাজন তার গলা চিপে ধরে। এ সময় হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু তার পকেট থেকে জোর পূর্বক ৫০হাজার টাকা বের করে নেয় এমনটি জানান মশিউর রহমান মামুন।

 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, দুই ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৭জনকে আসামী করে গত ১৫ নভেম্বর স্থানীয় থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করেন এমন দাবী হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের।

 

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জানান, তিনি শুনেছেন তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদের কোনো বিষয়ের সাথে তিনি জড়িত নয়, তাকে সামাজিক ভাবে হয়রানী করা উদ্দেশ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যান নিজের দূর্নীতি ঢাকতেই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। দুই ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরু জানান, টিআর-কাবিখা-কাবিটাসহ নানা প্রকল্পের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে মারধর ও তার অফিস ভাংচুর করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান বাদী হয়ে দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পায়নি। এ সংক্রান্ত অভিযোগ যদি পাই তাহলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

উল্লেখ্য যে, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন ও ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের মধ্যে গত ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের ভিতরে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের একটি মামলায় বুধবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone